জয়পুরহাটে হাডুডু খেলা

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে জয়পুরহাটে হাডুডু খেলা

 

এম রাসেল আহমেদ,ক্ষেতলাল, জয়পুরহাটঃ সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হাডুডু। আধুনিক খেলার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া খেলাটির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে জয়পুরহাটের মীরগ্রামে বসুন্ধরা শুভসংঘ এই হাডুডু খেলার আয়োজন করে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বসুন্ধরা শুভসংঘ জয়পুরহাট  ক্ষেতলাল শাখার আয়োজনে জেলার আমদই ইউনিয়নের মীরগ্রাম এলাকায় এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ খেলাটি উপভোগ করেন।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নে আয়োজিত ৫০ মিনিটের খেলায় ৪৭/৪০ পয়েন্ট নিয়ে বিজয়ী হয় মীরগ্রাম পশ্চিম পাড়া  দল এবং রানার আপ হয় মীরগ্রাম পূব পাড়া  হাডুডু দল। বিজয়ী দলের টিম লিডার আঃ রহমান ও রানার আপ দলের রাহাত কিবরিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন বসুন্ধরা  শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ। বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই খেলা উপভোগ করার জন্য অনেক এলাকায় মাইকিং করা হয়। প্রতিটি খেলায় দর্শকসমাগমও হয় ব্যাপক। বিশেষ করে  শিশু দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে প্রতিটি খেলায়।

  • জয়পুরহাটে হাডুডু খেলা

কয়েক বছর আগেও গ্রামে গ্রামে এ খেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন প্রায় হারিয়েই গেছে খেলাটি।বর্তমানে কাবাডি খেলা চালু করা হলেও হাডুডু খেলার নিয়মকানুন সম্পূর্ণ আলাদা। আগে এই সময়ে মানুষ বেকার থাকত, বিশেষ করে গ্রামের মানুষ। তখন হাডুডু টুর্নামেন্টের আয়োজন হতো মহা ধুমধামে। গরুও  ছাগল পুরস্কার ঘোষণা করে খেলা হতো বিভিন্ন গ্রামে। দীর্ঘদিন পর হাডুডু খেলার আয়োজন হওয়ায় বেশ খুশি কয়েক গ্রামের মানুষ।

খেলা দেখতে আসা প্রবীণ দর্শক ফজলুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হাডুডু খেলা দেখতে পেলাম। খুব ভালো লেগেছে। আগে প্রায়ই এ খেলার আয়োজন হতো। বর্তমান প্রজন্ম এ খেলা কোনো দিন দেখেনি।খেলাটির আয়োজন করায় তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল জয়পুরহাট এর সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের জাতীয় খেলা হাডুডুকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যুবসমাজকে মোবাইলের আসক্তি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতেই এ খেলার আয়োজন। প্রতিবছর ন্যায় এবছরও বসুন্ধরা শুভসংঘ এ খেলার আয়োজন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে বলেও জানান তিনি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *