বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৭১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋন বিতরন
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার হরিপুর গ্রামে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৭১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋন বিতরন করা হয়েছে। আজ বুধবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋন বিতরন অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইষ্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালেরকন্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেলের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সরকার, হোমনার পৌর মেয়র এ্যাড. নজরুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোঃ মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশে^র কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। শুধু বসুন্ধরাই মানবতার কল্যাণে সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত এই ঋণ বিতরন করে যাচ্ছে। বসুন্ধরার লক্ষ্য এই ঋণ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্ভী হবেন এবং ছেলে মেয়েদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন। বসুন্ধরার প্রদত্ত ঋণ এবং আপনাদের প্রচেষ্টায় একদিন আপনাদের অভাব মুছন হবে।
সভাপতি ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সাহেব-এর সরাসরি তত্ত¡াধানে সর্ব প্রথম ২০০৫ সাল থেকে সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরন কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এই ঋণের আওতায় প্রায় ৩০হাজার হতদরিদ্র ও গরীব লোকজন উপকৃত হয়েছে। এই ঋণ বিতরন ও আদায়ের দিক দিয়ে বিশ^ ইতিহাসে বিরল ঘটনা। যার একটি টাকাও এখনও অনাদায়ী থাকেনি। আমরা আপনাদের কে নিয়ে কাজ করছি আরও কাজ করব। বসুন্ধরা সবসময় আপনাদের পাশে আছে। বসুন্ধরা চাচ্ছে গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ গুলোর অর্থনীতির চিত্র পাল্টিয়ে দিতে। তিনি বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত ঋনের টাকা কোন প্রকার অবৈধ কাজে
বিনিয়োগ করা যাবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্লান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রæপ। তিনি আরও বলেন আজ ২শত হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত লোকের প্রত্যেককে ১৫হাজার টাকা করে মোট ৩০লক্ষ টাকা বিতরন করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পেয়ে ৩৩টি স্কীমের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি হচ্ছে ঋণ গ্রহিতারা।
হোমনা নগরীরচর কান্দাপাড়ার ঋণ গ্রহিতা মার্জিয়া আক্তার(৩৫) বলেন, আমি দেখতে বাউন্না(খুব খাট) যার লাই¹া কোন কাজ দেয় না। এই টেহা দিয়া মেশিন কিন্না কাপড় সেলাইমু রোজার মাসে বেশি সেলাই কইরা বেশি টেহা পামু। আল্লাহর কাছে বসুন্ধরার মালিকের লাই¹া দোয়া করি।
দরিচর গ্রামের ঋণ গ্রহিতা রোজিনা আক্তার (৩০) বলেন, এই টেহা নিয়া কৃষি কামে লাগামু। এমন সময় টেহাডি পাইছি যখন ধান খেতে সার ও পানি দিতাম পারমু। বেশি ধান হইলে ঘরে ভাতের অভাব ঐতনা। আল্লাহর কাছে কমু টেহা যারা দিছে বসুন্ধরার মালিকগরে তুমি ভালা রাইক্ষ।
বাগমারা গ্রামের ঋণ গ্রহিতা অঞ্জনা দাস (৩০) বলেন, আমার স্বামী কয়ডা কয়ডা মাছ কিন্না বেছে। এই টেহা গুলি লাইজ্জার কামে লাগবে। ভগবানের কছে বসুন্ধরা মালিকগ লাগি প্রার্থনা করি।