নওমুসলিম মেহেদী হাসানের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
পঞ্চাশোর্ধ মেহেদী হাসান সিদ্দিকী একজন হকার। ঘুরে–ঘুরে দাতের ব্রাশ বিক্রি করেন। রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার শাখারী নগর লেনে ভাড়া বাসায় স্ত্রী–সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি। ৬ সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী মেহেদী হাসান।
ব্রাশ বিক্রির অর্থে খেয়েপড়ে ভালোই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন মেহেদী হাসান। রোগাক্রান্ত হওয়ার পর আগের মতো রোজগারের উদ্দেশ্যে বের হতে পারেন না। রোজগার কমে যাওয়ায় অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে মেহেদী হাসানের পরিবারকে। তাছাড়া চিকিৎসাব্যয় বহন করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মেহেদী হাসানের এ সমস্যার কথা জানতে পেরে বসুন্ধরা শুভসংঘ তার পাশে দাঁড়ায়। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কালের কণ্ঠ অফিসে মেহেদী হাসানের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার মাদরাসা শিক্ষার্থী সন্তানদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ।
বসুন্ধরা শুভসংঘকে পাশে পেয়ে মেহেদী হাসান সিদ্দিকী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ও সংগঠনটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি জানান, এক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পারিবারিকভাবে তারা বেশ সচ্ছল ছিলেন। তরুণ বয়সে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ধর্মান্তরিত হন। তার এ সিদ্ধান্ত পরিবার মেনে নেয়নি। তাই পরিবারের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হয় তাকে।
তিনি আরও জানান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সংগ্রাম করে জীবনধারণ করতে হচ্ছে। ভালো কোনো চাকরি না পেয়ে রাস্তায় ও বাসে ঘুরে ব্রাশ বিক্রি করে সংসার চালান। তবুও তিনি মনে করেন এরমাঝেই সুখ। আল্লাহ তার জন্য উত্তম কিছু রেখেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।