ঠাকুরগাঁওয়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের আড্ডা ও উন্নতমানের খাবার বিতরণ
তোমাদের মতো করে এভাবে কেউ কাছে ডেকে নিয়ে আদর করে না,গল্প শোনায় না, ভালো খাবার দেয়না। তোমরা সবাইকে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এভাবে আমাদের আরো গল্প শোনাইয়ো।
শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পৌর শহরের অপরাজেয় একাত্তর চত্তরে বসুন্ধরা শুভসংঘ আয়োজিত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে আড্ডা ও উন্নতমানের খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই মনের কথা ব্যাক্ত করে দশবছর বয়সি কোমলমতি শিশু রোজিনা আক্তার। রোজিনা ঠাকুরগাঁও টাঙ্গনব্রিজ সংলগ্ন জলেশ^রিতলা এলাকার ময়নাল হোসেনের কন্যা। এমন কথা বলে একই এলাকার আয়শা , সাম্মি, জুয়েল (ছদ্মনাম) সহ আরো বেশ কয়েকজন।
হঠাৎপাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবারের শিশু সন্তান সুবিধাবঞ্চিত সুলতানা, ইয়াসিন, জুয়েল (ছদ্মনাম) বলে, আমরা অনেক গরীব, বাবা দিনমজুর ও মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। দুইবেলা ঠিকমতো খেতে পারিনা। তোমাদের দেয়া এমন ভালো খাবার কেউ দেয়না। তোমদের কথা মতো আমরা এখন থেকে লেখাপড়া করবো, মানুষ হবো আর বড় হয়ে চাকরি করবো।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উন্নতমানের খাবারের প্রতিটি প্যাকেটে ছিল পোলাও, মুরগির রোষ্ট, ডিম,সবজি,পটোল ভাজা ও সালাদ। আড্ডা ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি তাপস দেব নাথ, সাধারন সম্পাদক রাশেদুল আলম লিটন, কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মালিহা মনজুর মৌমি, মীর ছানোয়ার হোসেন ছানু, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উম্মে তিশা ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজা ফারিহা মারজান ও কালের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমিটির সভাপতি তাপস দেব নাথ বলেন, শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে ও মেধা বিকাশে বিভিন্ন বিষয়ে শিশুদের সাথে আড্ডা ও গল্প হযেছে। এই আড্ডায় দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া গল্প , লেখাপড়ার গুরুত্ব, পরিবারে বাবা মা ও অন্যান্য সদস্যদের সাথে ভালো আচরন করা সম্পর্কে করণীয় আলোচনা করা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রাশেদুল আলম লিটন জানান, শুভ কাজে মানুষের মঙ্গলে শুভসংঘের ঠাকুরগাঁও সদস্যরা অত্যন্ত তৎপর এবং মানবিক। শুভসংঘের সকল সদস্য শুভকাজের মাধ্যমে সব সময় মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।
পার্থ সারথী দাস