গোবিন্দগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীরা পেল শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ
খরা মৌসুমে গত কয়েক বছর ধরেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর মারাত্মকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। এবারো চলমান দাবদাহে পানির সংকট দেখা দিয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। দিন দিন বাড়ছে এই সংকট। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে নেই সতর্কতা নেই। অবাধে যে যার মতো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করছেন। এতে সংকট আরও বাড়ছে। ভূগর্ভস্থ পানির পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে আগামীতে উত্তরাঞ্চলের মানুষকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। আর এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণায় নেমেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ পঞ্চগড়ের সদস্যরা। বুধবার বিকেলে তারা পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করে। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে জড়ো হয় শুভসংঘের সদস্যরা। হাতে এক একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘পানির অপর নাম জীবন, ভূগর্ভস্থ পানির পরিমিত ব্যবহার করুন, পানির অপচয় করবেন না, সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ। তারা পথচারীদের পানির পরিমিত ব্যবহার করার অনুরোধ করেন। এ সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি সরকার হায়দার, শুভসংঘের সহসভাপতি জুবায়ের রহমান বাপ্পি, যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হাসান, শুভসংঘের সদস্য মেঘলা, মেঘনা, তিশা, জামিল ও সাদিয়াসহ শুভসংঘের সদস্যরা এই মহৎ কাজে অংশ নেন।
আয়োজকরা জানান, পৃথিবীর অনেক স্থানেই পানির জন্য হাহাকার চলছে। চলমান দাবদাহে দেশের অনেক এলাকাতেই পানির সংকট শুরু হচ্ছে। এক ফোটা পানির কি মূল তারা তা জানে। তাই পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এই সচেতনতামূলক প্রচারণা বলে জানান তারা।
বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব বলেন, আমরা অনেকে এখনো না বুঝেই পানির যতেচ্ছা ব্যবহার করছি। আমরা এখনি সতর্ক না হলে সামনে কঠিন দিতের মুখোমুখি হতে হবে। তাই আমরা মানুষকে পানির প্রয়োজনীয়তা ও সংকটের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই এই আয়োজন করেছি।
পঞ্চগড় জনস্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান বলেন, পঞ্চগড়ের অনেক এলাকার টিউবওয়েলের পানি উঠছে না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এখনি সময় আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।