‘শুভসংঘের নিত্য নতুন কাজ দেখে মুগ্ধ হচ্ছি’
দীর্ঘদিন ধরে বসুন্ধরা শুভসংঘ পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে কাজ করে যাচ্ছে। বৃক্ষরোপণ, ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি, পাঠাগার (কাজ চলমান) এবং শিক্ষার্থীদের নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজ দেওয়ায় শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আসলে বসুন্ধগ্রæপ নিভৃতে সমাজের জন্য এতো কাজ করে যাচ্ছে যা আগে জানা ছিলো না। শুভসংঘের নিত্য নতুন কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হচ্ছি। শুভসংঘের চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া রইলো। কথাগুলো বলছিলেন জায়নামাজ উপহার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ।
শনিবার বেলা ১২টায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ শাখার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নামাজের ঘরে জায়নামাজ উপহার দেওয়ার সময় অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘ পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি আফরোজা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি হিসেনে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মোদাচ্ছের বিল্লাহ্। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল মালেক, সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান মিয়া, ইদ্রিস ব্যাপারী, সঞ্জয় রায়, প্রভাষক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও শুভসংঘের সদস্য সোহানা আক্তার, করুনা আক্তার, তুলি আক্তার আমাতুন ও জহুরা প্রমুখ।
কলেজটির দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী আফরা সাইয়ারা তুলি বলেন, অনেক দিন পর্যন্ত নামাজের ঘরে আমরা নামাজ পড়ার জায়টিতে পর্যাপ্ত জায়নামাজ ছিলো না। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাদের নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজ দিয়েছে। এখন আমরা স্বাচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারব। শুভসংঘের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা শুভসংঘের পাশে থেকে আরো বেশি বেশি কাজ করতে চাই।
পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তাসলিমা বেগম বলেন, জায়নামাজ দেওয়ায় আমরা অনেক খুশি হইছি। এহন নামাজ আদায় করতে আর সমস্যা হবে না। যারা এই জায়নামাজ দিছে তাদের জন্য সবসময় নামাজ পড়ে দোয়া করবো। তাগো আল্লাহ ভালো রাখুক।
জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘ পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি আফরোজা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কলেজের ছাত্রীদের নামাজের কক্ষে জায়নামাজ দেওয়ার জন্য শুভসংঘের কাছে ছাত্রীদের দাবী ছিলো। আজ জায়নামাজ দিতে পেরে আমরাও অনেক খুশি। কারণ নামাজের স্থানে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও একসাথে অনেকে নামাজ আদায় করতে পারতো না। বিগত দিনের মতো বসুন্ধরা শুভসংঘ সমাজের সব ধরেণের শুভ কাজের পাশে থাকবে এবং আছে।