শহীদ আবু সাঈদের বীরত্ব গাঁথা নিয়ে গঙ্গাচড়ায় অপ্রকাশিত দুলর্ভ আলোকচিত্র প্রদর্শনী

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদের বীরত্ব গাঁথা নিয়ে কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক আদর রহমানের তোলা ছবিতে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গঙ্গাচড়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভ সংঘের আয়োজনে ২ দিন ব্যাপী আবু সাঈদের হত্যাকান্ডের অপ্রকাশিত দূর্লভ চিত্রের আলোক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ঘটনার ২ দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সাইদের ছোট বোন সুমি খাতুন।
আলোকচিত্রে গত ১৬ জুলাইয়ের আন্দোলনের ঘটনা সমূহ দেখানো হয়েছে৷ আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে আন্দোলনের দিন পুলিশ ও ছাত্রলীগ দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম হামলার চিত্র৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, ভাবী সাবিনা ইয়াসমিন শিউলি, রংপুর জজ কোর্টের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ, গঙ্গাচড়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আখের মিঞা, কালের কণ্ঠের গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি সাজু মিয়া লাল, রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান, শুভ সংঘ গঙ্গাচড়া শাখার সভাপতি রায়হান কবির, ছাত্র প্রতিনিধি হানিফ খান সজীব প্রমূখ।
এ সময় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মর্তুজা আলী বলেন, আমরা শুধু আবু সাঈদকে গুলি করার একটা ছবি দেখেছি। আমরা এই দুর্লভ ছবিগুলো দেখিনি। এই ছবিগুলো দেখে অনেক কিছু জানতে পারছি। এ ছবিগুলো অপরাধী শনাক্তে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

শহীদ আবু সাইদের ছোট বোন সুমি খাতুন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা ছয় ভাই ও তিন বোন। এর মধ্যে আবু সাইদ ভাইয়ের মধ্যে সব থেকে ছোট এবং সকলের আদরের। সে ছিল অনেক মেধাবী। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টের সেটা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমাদের পরিবারের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেনি। তাকে নিয়ে আামাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

আলোকচিত্রের বিষয়ে ফটো সাংবাদিক আদর রহমান বলেন, আমি প্রথমে শহীদ আবু সাইদের পরিবারের জন্য গভীরভাবে সমবেদনা প্রকাশ করতেছি। আমি ১৬ জুলাইয়ে সাড়ে ৩শ ছবি তুলেছি এর মধ্যে ৫০ টি ছবি এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। আমি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১৬ জুলাইয়ের অপ্রকাশিত ছবি গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনো যদি আবু সাইদ কে নিয়ে গবেষণা করা হয় তাহলে হয়তো এই ছবি গুলো অনেক কার্যকর ভ‚মিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে তিনদিন ব্যাপী আদর রহমানের অপ্রকাশিত ছবিগুলো প্রদর্শিত হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *