ফেনীতে শতাধিক এতিম ও শিক্ষার্থীকে খাওয়ালো ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’
“এমন আয়োজন দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। এর আগে কখনো এই এলাকায় এমন অনুষ্ঠান হয়নি। দোয়া করি, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’ এমন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী আয়োজন যেন সবসময় করতে পারে।” শনিবার ‘শুভসংঘে’র ‘এক বেলা খাবারে’র কর্মসূচিতে অতিথি, শিক্ষক আর অভিভবাবকরা এমন অনুভূতিই প্রকাশ করেন।
ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কালিকাপুর সীমান্ত এলাকায় কামাল্লা দারুল কুরআন মাদরাসায় আয়োজন করা হয় এই ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠানের। এদিন ওই প্রতিষ্ঠানের শতাধিক এতিম ও সাধারণ শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাওয়ানো হয়।
ঈদুল আযহাতে সংগ্রহ করা মাংসের সাথে আনুষঙ্গিক খাদ্য সামগ্রী সহযোগে আয়োজিত ‘এক বেলা খবার কর্মসূচি’তে মেনু ছিল সাদা ভাত, গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, মাসকলাই ডাল ও সবজি। এমন মেজবানী খাবারের আয়োজনে সবাই তৃপ্ত ও আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে ‘শুভসংঘ’ ফেনী শাখার সভাপতি ফয়জুল হক বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আনোয়ার জাকির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাষ্টার সাইফুল ইসলাম, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুর রহিম, পরিচালক আকবর হোসেন, ‘কালের কন্ঠে’র জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান দারা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক একরাম পাটোয়ারি, সাবেক যুবনেতা সামছুল হক ভুঁইয়া রাশেদ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. স্বপন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক আনোয়ারুল ইসলাম, মহিম উদ্দিন পৃথীবি, আবদুর রহিম, শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ উল্যাহ, মাষ্টার সাইফুল হক।
প্রধান অতিথি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার তার বক্তব্যে এমন আয়োজনের জন্য ‘শুভসংঘে’র প্রশংসা করে বলেন, কামাল্লা এলাকাটি কিছুটা অবহেলিত বা অনগ্রসর এলাকা। এই অনুষ্ঠানের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, এ ধরণের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো উপকৃত হবে। তিনি এসময় মাদরাসার পাকা ভবন নির্মাণের জন্য তার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ১০ হাজার ইট প্রদানের ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি আবাসিকের ছাত্রদের জন্য দুই বস্তা চাল, এক বস্তা আলু ও ২০ লিটারের এক টিন সয়াবিন তেল উপহার হিসেবে প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ‘শুভসংঘে’র সদস্যরা অংশ নেন এবং তারা সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।