বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সহায়তা পেলেন অসহায় লক্ষী রানী
দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।দেশ ও মানুষের কল্যানে শ্লোগান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দেশের জন্য।দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ।বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ।শুভ কাজে সবার পাশে থাকার প্রত্যায় নিয়ে কাজ করছে সংগঠন।
বসুন্ধরা শুভসংঘ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার উদ্দ্যোগে আজ সোমবার (১/৭/২৪) দুপুর ১২ টায় গোপালগঞ্জ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের বাসিন্দা অসহায় অনূঢ়া নারী লক্ষী রানী বিশ্বাস কে দেওয়া হল খাদ্য সহায়তা।
পারিবারিক অসচ্ছলতা ও অর্থিক সমস্যার কারনে বিবাহ করেন নি লক্ষী রানী বিশ্বাস।১৯৮১ সালে এস এস সি পাস করে আর পড়াশোনা করতেও পারেন নি তিনি।পড়াশুনা জানেন বিধায় কিছু টিউশনি করিয়ে দিনযাপন করেন কোন ভাবে।তার ভাইয়েরা তাকে সামান্য সহযোগীতা করেন। এতেই চলে তার একজনর সংসার।বয়সের ভারে এখন আর আগের মত কাজ করতে পারেন না বিধায় সহযোগীতা আশা করেন শুভসংঘের কাছে।শুভসংঘ লক্ষী রানীর অহসায়ত্বের কথা শুনে তাকে দেওয়া হল প্রায় ১৫ দিনের খাদ্য সহায়তা।নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যর পাশাপাশি সবজি,মৌসুমী ফল আম,জাম দেওয়া হয় তাকে।
খাদ্য সহায়তা পেয়ে লক্ষী রানী কেদে দেন এবং বলেন,”আমার কোন সন্তান নাই,স্বামী নাই,আমার মত অসহায় গরীব কে তোমরা বাবারা যে সাহায্য দিলা তাতে আমার ১৫ দিন চলে যাবে,আশীর্বাদ করি ঠাকুর তোমাদের মঙ্গল করুক।”
খাদ্য সহায়তা প্রদান কালে বসুন্ধরা শুভসংঘ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সহ সভাপতি বিল্টু বিশ্বাস বলেন,লক্ষী রানীর মত নারীদের পাশে দাড়াতে পেরে আমরা আসলে আজ গর্বিত,একজন সংগ্রামী নারী তিনি,এমন ভাল কাজের সাথে থাকতে পেরে আনন্দিত আমি ও আমরা শুভসংঘ পরিবার।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস,সাংগঠনিক সম্পাদক তুর্জ রহমান,রিজেন্ট কলেজ,গোপালগঞ্জ এর প্রভাষক জনাব নীপা সুলতানা, ব্যাবসায়ী বিজন দাস,রাখাল মজুমদার সহ আরো অনেকে।