আগৈলঝাড়ায় দরিদ্র মেধাবী এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্যসহয়তা
শান্তা হালদার। আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী। সে চলতি এইচএসসির পরীক্ষার্থী। তার ঘরে খাবারনাই ও মা অসুস্থ কি খেয়ে পরীক্ষাদিতে যাবে এই দুরচিন্তায় ছিলো শান্তা হালদার ও তার মা কাজলি হালদার। এ কথা জানতেপায় আগৈলঝাড়া বসুন্ধরা শুভসংঘ উপদেষ্টা এসএম ওমর আলী সানি। তারপরে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী সুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহয়তার সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ শান্তার পরিবারকে ৩০ জুন রবিবার খাদ্যসামগ্রী সহয়তা করেন।
শান্তা হালদার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা গৈলা ইউনিয়রে কাঠিরা গ্রামের কাজলি হালদারে মেয়ে।
রবিবার বিকেল ৩টায় আগৈলঝাড়া বসুন্ধরা শুভসংঘ অস্থায়ী কার্যালয়েবসে চাল, আটা, ডাল, তৈল, লবন, বিস্কুট, সাবান ও কলম সহ একমাসের খাদ্যসামগ্রী শান্তা হালদার ও তার মা কাজলি হালদারে হাতে তুলেদেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ উপদেষ্টা এসএম ওমর আলী সানি। এসময় তার সাথে ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাস গুপ্ত, বসুন্ধরা শুভসংঘ আগৈলঝাড়া শাখার সহপভাপতি আয়কর আইনজীবী সমিরন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিক খান, সদস্য চয়ন হালদার ও রাশেদুল ইসলাম।
শান্তা হালদার মা কাজলি হালদার কান্নায় ভেঙ্গেপরে অশ্রুস্বজল চোখে এ সময় বলেন, আমার মেয়ে (শান্তার) এইচএসসি পরীক্ষা। আমার ঘরে কোন খাবাছিলো না। আমার মেয়ে কি খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে, এই নিয়ে আমি দুরচিন্তায় ছিলাম। রবিবার (আজ) সুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সংগঠন সুন্ধরা শুভসংঘ আমাদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহয়তা করেন। আমার দূরচিন্তা মুক্তকরছে। আমার মেয়ের আর না খেয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে না। বসুন্ধরা শুভসংঘ যে খাবার দিয়েছে তাই খেয়ে আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে পারবে। সুন্ধরা শুভসংঘর এই সহযোগিতার কথা আমরা কোনদিস ভূলবোনা।
এইচএসসির পরীক্ষার দরিদ্র মেধাবী শান্তা হালদার অশ্রুস্বজল চোখে আবেগ আব্রæত কন্ঠে বলে, আমি ২০২২ সালের এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পাই। কলেজে ভর্তি হবার মতো টাকা ছিলো না বসুন্ধরা শুভসংঘের সহযোগিতায় আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমি কলেজে ভর্তি হবারপর থেকে বই, কলম, খাতা, কলেজের বেতন পরীক্ষার ফরম পুরনের খরচ সহ সকল খরচ দিয়ে আমার লেখা পড়া চালিয়ে আসছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের সহযোগিতার কারনে আজ আমার লেখাপড়া করতে পারছি। আমার ডাক্তার হবার স্বপ্ন এবং আমার জীবনও অন্ধকারে দিকে যাচ্ছিল। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাসে দাড়ানোর কারনে আমি ডাক্তার হবার স্বপ্নদেখছি। আমার মা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ আক্রানা হয়ে আছে। মায়ের চিকিৎসার টাকা যোগানদিতে গিয়ে আমারা লেখা পাড়া বন্ধেরপথে এমন সময় বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহয়তার সংগঠন শুভসংঘ আমাকে বই কিনেদিয়ে আমার পাসে দাড়ায়। এরপরে আমার কলেজের লেখাপড়ার সহযোগিতা করে আসছে। আমার এইচএসসির পরীক্ষার। আমাদের ঘরে নেই কোন খাবার। অসুস্থা মা ঘরে। আমার না খেয়ে পরীক্ষাদিতে হবে এমনই অবস্থাছিলো। এমন সময় বসুন্ধরা শুভসংঘ চাল, আটা, ডাল, তৈল, লবন, বিস্কুট, সাবান ও কলম দিয়ে সাহার্য্য করেছে। এখন আর আমার না খেয়ে পরীক্ষাদিতে যেতে হবে না। আমি বসুন্ধরা শুভসংঘর দেয়া খাবার খেয়ে পরীক্ষাদিতে পারবো। আমি সারাজীবন বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিকৃজ্ঞ থাকবো। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়াকরি বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের মানুষের কল্যানে যেনো আরো বেশি বেশি কাজ করে যেতে পারে। বসুন্ধরা শুভসংঘ যেনো আমার পাসে থাকে। আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ সাথে থাকবো সারাজীবন।
বসুন্ধরা শুভসংঘ আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখার উপদেষ্টা এসএম ওমর আলী সানি বলেন, বসুন্ধরা সারা দেশের দরিদ্র মেধাবীদের জন্য শিক্ষা সহয়তা দিয়ে আসছে। আমারা বসুন্ধরা শুভসংঘ এভাবে সারাদেশের নায বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মানবিক কাজকরে যাবো।
আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাস গুপ্ত বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ যে মানবিক কাজগুলো করছে এই কাজগুলো মহাত কাজ।