রংপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে নতুন জামা বিতরণ
নয়া পিরান পিন্দি মুই ঈদের দিনোত মামুর বাড়িত যাইম।
রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নে তিস্তার চরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের চল্লিশ জন ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন জামা বিতরণ করেন রংপুর বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমিটি । গতকাল শুক্রবার ( ৫ এপ্রিল) ঈদ উপহার হিসেবে তাদের হাতে নতুন জামা কাপড় তুলে দেয়া হয় ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-হাদি,বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সমন্বয়ক গোলজার রহমান, বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষিকা জেসমিন বেগম, শিক্ষক শাহরিয়ার সাগর, বসুন্ধরা শুভসংঘের রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল তানভীর, সহ-সাংগঠনিক রবি দাশ, অর্থ সম্পাদক সোহাগ কুমার দাশ সম্পাদক, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ আলম জেমস, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রমুখ ।
ঈদের নতুন জামা পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের স্কুলের শিশু শ্রেণীর ছাত্র জহুরুল হকের খুশির শেষ নাই । জহুরুল হক বলেন, নয়া পিরান পিন্দি মুই ঈদের দিনত মামুর বাড়িত যাইম । প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী কারিমা বেগম বলেন, অনেক দিন পর মুই এবার ঈদোত নতুন জামা পিন্দিম । মোক খুব ভালো লাগছে । ঈদ উপহার হিসেবে নতুন জামা বিতরণ শেষে চরের ১০০ জন মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।
উল্লেখ্য রংপুর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দুরে গংগাচড়া উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নের তিস্তার চর চল্লিশ সাল । বর্ষার সময় এই চরে যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম নৌকা । আর শুষ্ক মৌসুমে ধুধু বালুচর হেঁটে যেতে হয় এই চরটিতে। এই চরটিতে প্রায় ৫০০ লোকের বসবাস। এই চরের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষি কাজ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । চর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে রয়েছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । তাই এই চরের শিশুরা বর্ষার সময় নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে পাঁয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয় । তাই এই চরের শিশুরা স্কুলে ভর্তি হলেও তারা ঝরে পড়ে । তাই ঝরে পড়া ও চরের শিশুদের কথা চিন্তা করে বসুন্ধরা গ্রæপের শুভসংঘ স্কুল ২০২৩ সালের পহেলা মে প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটি উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও নন্দিত দুই বাংলার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন । শুভসংঘ স্কুলটিতে এখন তিনটি শ্রেণীতে ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী লেখা পড়া করছে । বর্তমানে শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী চালু রয়েছে ।
আদর রহমান