রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ শাখার উদ্যোগে তিস্তার চরে কৃষক ছাউনির উদ্বোধন
বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহের কারণে তীব্র গরম চলছে। কৃষকদের তীব্র তাবপ্রবাহ ও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাতে চরের কৃষকদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার লক্ষীটারি ইউনিয়নে মহিপুর এলাকায় তিস্তা চরে ‘কৃষকের ছাউনি’ তৈরি করেছে রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ।
গত বুধবার ( ১ মে ২০২৪ ) ‘কৃষকের ছাউনি’র উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সরকার মনিরুজ্জামান রিংকু ।
‘কৃষকের ছাউনি’র উদ্বোধন এর আগে রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সভাপতি ও রংপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাদাকাত হোসেন এর সভাপেিত্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । এতে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সরকার মনিরুজ্জামান রিংকু, গংগাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম । ‘কৃষকের ছাউনি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাচিপ নেতা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল, ডাঃ আশফাকুল হক খন্দকার পুলক, ডাঃ মোফাজ্জল হায়দার সিদ্দিকী ,ডাঃ আশিকুর রহমান তালুকদার, ডাঃ ফরহাদ হোসেন, ডাঃ রাইসুল ইসলাম নবীন,ডা: সাখাওয়াত হোসেন রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সহ-সভাপতি আরমানুল হক আরমান, রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিম হাসান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সমন্বয়ক গোলজার রহমান আদর প্রমুখ ।
জানা গেছে, তিস্তার চরে কৃষকদের বিশ্রামের কোনো ব্যবস্থা আগে ছিল না। তীব্র গরম, ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত শুরু হলে আশপাশে কোথাও ঠাঁই নিতে পারতেন না। মূলত এ দুর্ভোগের কথা চিস্তা করে কৃষক ছাউনি করার পরিকল্পনা করে রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সরকার মনিরুজ্জামান রিংকু বলেন, কৃষক ছাউনিটি চমৎকার লেগেছে। এই কৃষক ছাউনি অন্যান্য চরাঞ্চলের এলাকার লোকজনের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। চরের কৃষকেরা এখন থেকে এই ছাউনিতে বিশ্রাম নিতে পারবেন। চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি কৃষকদের বেশি বেশি পানি পান, ছায়াযুক্ত স্থানে যথাসম্ভব অবস্থানের পরামর্শ প্রদান করেন।
গংগাচড়া উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, কৃষক ছাউনি করার আগে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পরিকল্পনার কথা জেনে খুবই খুশি হই। এই ছাউনি তৈরির ফলে উপকৃত হবেন কৃষকরা। কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। আমরাও কৃষি বিভাগ থেকে চরাঞ্চলে কৃষকদের জন্য ছাউনি তৈরি করব ।
গংগাচড়া উপজেলার মহিপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আগে রোদে কোথাও যাওয়ার উপায় ছিল না। আগে রোদ ও বৃষ্টির সময় আমরা মাঠে ভয় নিয়ে কাজ করেছি। এখন নির্ভয়ে কাজ করছি। এখন আমরা এই ঘরের নিচে আশ্রয় নিব। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ্ বসুন্ধরা গ্রæপের ভালো করুক ।
‘কৃষক ছাউনি’র উদ্বোধন শেষে কৃষকদের মাঝে খাবার স্যালাইন ও পানি বিতরণ করা হয় ।