বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথী দৃষ্টিজয়ী মেহেদীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জন্ম থেকেই চোখে কম দেখতেন। ২০১১ সালে এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে দুচোখের আলো নিভে যায় মেহেদী হাসানের। কিন্তু তাতে হতাশ না হয়ে সব প্রতিক‚লতাকে জয় করে লেখাপড়া চালিয়ে যান মেহেদী। এ বছর ঢাকা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হবার পর পড়ার সুযোগ পান চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই দৃষ্টিজয়ী অদম্য মেধাবীর পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। মেহেদীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ লেখাপড়ার খরচ জোগাবে বসুন্ধরা।
সোমবার কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে মেহেদীর হাতে বসুন্ধরার অনুদানের টাকা প্রদান করা হয়। এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার মো: শামসুল আলম, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও শুভসংঘ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিলন, সভাপতি প্রবীন শিক্ষাবিদ খন্দকার খায়রুল আনম ও কালের কণ্ঠের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক।
মেহেদী হাসান জানান, তাঁর বাবা ছিলেন দরিদ্র ট্রাক চালক। বর্তমানে বয়সের ভারে কাজ করতে পারেননা। ছয় ভাইবোনের মধ্যে বড় ভাই পল্লী চিকিৎসকের সামান্য আয়ে সংসার চলে। তিন বোনের বিয়ে হলেও অন্য বোনটি বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী। গত ডিসেম্বরে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের সুত্র ধরে বসুন্ধরা শুভসংঘ তার পাশে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে মেহেদী ঢাকার জানে আলম সরকার হাইস্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে ঢাকা বোর্ডে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন।
মেহেদী জানায়, সাধারণ ছাত্রের মতো তার শিক্ষাজীবন নয়। তাকে বই কিনে কারো মাধ্যমে রেকর্ডিং করে মুখস্থ করতে হয়। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেনও না। তবে দৃঢ় মনোবল ও আর ইচ্ছা শক্তির কারণে সে সফল হতে পারবে বলে বিশ্বাস। তার ইচ্ছে ভবিষ্যতে ব্যারিষ্টার হয়ে সাধারণ মানুষকে আইনী সেবা দেয়া।