স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
যে কোনো দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে স্থলভাগের শতকরা ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে তার স্থলভাগের তুলনায় মাত্র ৯ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই যুগে শীতল ও সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন বেশি বেশি বৃক্ষরোপণের।
আর তাই, বৃক্ষ রোপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে ও এর প্রতি শিক্ষার্থীদেরকে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে চুয়েটে বসুন্ধরা শুভসংঘ আয়োজন করেছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির।
আজ ১০ জুন সোমবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্কুলের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন করে বসুন্ধরা শুভসংঘ চুয়েট শাখা। দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন ও বসুন্ধরা শুভসংঘ চুয়েট শাখার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা, বৃক্ষের উপকারিতা এবং এই কাজে শিক্ষার্থীদেরকে আগ্রহী করে তুলতে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করেন। এরই পাশাপাশি তারা উক্ত কাজের জন্যে বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানান। চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। এটি আমাদেরকে ছায়া, ফল, ফুল ও অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করে। তাই বৃক্ষরোপণের মতো একটি কর্মসূচি হাতে নেওয়ার জন্যে আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ চুয়েট শাখাকে ধন্যবাদ জানাই।
এসময় উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, শুভসংঘের এই কাজটি অত্যন্ত ভালো কাজ হয়েছে। এমন কল্যাণকর কাজ করাতে বাচ্চাদের আগ্রহী করে তোলায় আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাই ও তাদের জন্যে দোয়া করি।
আলোচনার পরপরই উপস্থিত অতিথি-সহ সকলে চুয়েট ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন। এসময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত স্থানে আনন্দ ও উৎসাহের সাথে গাছ লাগায়। চুয়েট স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী জেরিন গাছ লাগাতে পেরে খুশি হয়ে বলে, এটা আজকে থেকে আমার গাছ। আমি প্রতিদিন একবার এসে এটাকে পানি দিয়ে দেখে যাবো। বড় হলে এই গাছের সাথে আমি ছবি তুলবো।
চুয়েট স্কুল পড়ুয়া ৪ র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়ানের মা বলেন, আমার বাচ্চাকে আমি অনেকদিন পর এতো উৎসাহিত দেখলাম। আমরা অভিভাবকরা চাই আমাদের বাচ্চারা এখন থেকেই এগুলা শিখুক যাতে ভবিষ্যতে এই পৃথিবী ওদের জন্যে আরো সুন্দর হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই কাজ আমরা সারাজীবন মনে রাখবো।
বৃক্ষরোপনের পর উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভসংঘের সদস্যরা উক্ত কর্মসূচির ইতি টানেন ও রোপণ কৃত গাছ পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণের অঙ্গীকার নেন।