সুমির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
মেধাবী শিক্ষার্থী সুমি। পড়া-শোনা করেছেন সমশিরা উচ্চ বিদ্যালয় ও মাত্রাই মডেল কলেজে। কালাই উপজেলার কাটাহার গ্রামে সুমি আর তার মায়ের ছোট সংসার। একমাত্র উপারজনক্ষম পিতা মোত্তালিব হোসেন হটাৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিছুদিন হলো। বিধবা মা ভাই-বোনের পড়া-শোনা চালিয়ে নিতে অক্ষম। ভাই নিজের খরচ নিজে চালিয়ে নিয়ে পড়া-শোনা চালিয়ে গেলেও মায়ের পক্ষে এতো খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। কালাই সরকারি মহিলা কলেজে (ইতিহাস) অনার্সে ভর্তি হবে সে। এমন পরিস্থিতির কারণে আর্থিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন হওয়ায় ভর্তি ফি’র টাকা টাকা দিতে পারছেন না সুমির মা হালিমা বেগম। এদিকে ভর্তির নির্ধারিত সময়ও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো ভাবেই টাকার ব্যবস্থা হয়নি। এমন অবস্থায় সুমি বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ এর শরণাপন্ন হয়। পরবর্তীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সুমির ভর্তি ফি’র ব্যবস্থা করা হয়। আজ বুধবার বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে সুমির হাতে ভর্তি ফি’র নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
ভর্তি ফি’র টাকা পেয়ে সুমি বলেন, ‘আর্থিক সমস্যার কারণে ভর্তি ফি দিতে পারছিলাম না। দুশ্চিন্তায় ছিলাম যে আদৌ অনার্স ভর্তি হতে দিতে পারবো কি না। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার দুশ্চিন্তা দূর করল। আমি কৃতজ্ঞ বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কন্ঠ ক্ষেতলাল প্রতিনিধি ও বসুন্ধরা শুভসংঘের ক্ষেতলাল শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হেলেনা আক্তার, ফাহমিদা রোশনি সহ শুভসংঘের সদস্য বৃন্দ।