রাজিবপুরে নদী ভাঙ্গন মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ।
বান হউক আর নদী ভাঙ্গন , হামার পাশে কাইও না থাকলেও বসুন্ধরা থাকে, তোমরা হামাক যা দিলা বাহে বাপের কাম হইল,
আজ শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারি ও বল্লব পাড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘর উদ্যোগে রাজিপুর সরকারি কলেজ শাখার আয়োজনে ৫০ টি পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন শুভসংঘর বন্ধুরা।
বসুন্ধরা শুভসংঘর ত্রাণসামগ্রী বৃহস্পতিবার রাতে শুভসংঘর বন্ধুরা প্যাকেটজাত করে পরে আজ শুক্রবার সকাল ৭ টায় নৌকা যোগে বন্যাকবলিত কোদালকাটি ইউনিয়নের বল্লব পাড়ায় ও পাইকান্টারি পাড়ায় নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রাণ বিতরণ করার খবর আগেই মানুষদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আগে থেকে বন্যার্ত মানুষজন ভিড় করেন। ত্রাণের নৌকা দেখে বন্যার্ত মানুষ কেউ কেউ পানি ভেঙে নদীর তীরে জড়ো হন। পরে উপস্থিত বন্যার্ত মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘর বন্ধুরা ।
বল্লভ পাড়া গ্রামে নদীতে বিলিন হওয়া মানুষের জন্য ২৫ প্যাকেট ও পাইকান্টারি পাড়ায় ২৫ টিসহ মোট ৫০ টি পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণের প্যাকেট পেয়ে ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, হামার ৩টি ঘর মাটির নিছত ডেবে গেছেব হামার খুব দু:খ কেউ হামাক কিছু দেয়নি ‘বান হউক আর নদী ভাঙ্গুক, হামার পাশে কাইও না থাকলে বসুন্ধরা থাকে। বানের সময় সউগ চরে ত্রাণ দুইবার, তিনবার করি গেইছে। হামার চরে কাইও আসে না। বসুন্ধরা ছাড়া আর কাইও নাই। বসুন্ধরা এই চাল আজকাই রান্না করি খামু, ত্রাণ পায়া হামার বাপের মতো উপকার হইল।‘
হুইল চেয়ারে করে এসেছে একাত্তর বছর বয়সের আয়নাল হক । স্টোক করার কারণে চলাফেরা করতে পারেনা আর একদিন নদী ভেঙে গেলে নিজের মাথা গোজার জায়গা টুকু হারিয়ে ফেলবেন তিনি। কান্না
জড়িত কণ্ঠে বলেন আজকে দুপুরে কি খামু সে খাওন টুকু নাই তোমরা (বসুন্ধরা) হামাক যে চাল দিলা বাহে তাইখামু, অসুখ মানুষ কোনঠে যামু জায়গায় নাই, আল্লাহ তোমার ভালো করুক”
সাইফুল আয়নালের মতো প্রত্যেকের জীবনেই এক একটা ঘটনা রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত সেই সব মানুষদের খুঁজে বের করে ৫০ টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, বিস্কুট, ও শিশুদের জন্য চকলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ রাজিবপুর–রৌমারী প্রতিনিধি সোহেল রানা স্বপ্ন, রাজিবপুর সরকারি কলেজ শুভসংঘর সভাপতি আশিক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ মাহমুদ, সহ সভাপতি মাসিদুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান, ক্রিয়া সম্পাদক মিশকাতুল মিরাজ, প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদ, কোদালকাটি ইউনিয়ন শুভসংঘর সভাপতি আমিনুর রহমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাকিব দপ্তর সম্পাদক আকাইদ প্রমুখ।