মিরপুরে অস্বছলদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহাসামগ্রী বিতরন 

 

নাজমা আক্তার রাজধানীর মিরপুর১৪ নম্বরে গোয়ালবাড়ী রোডে ছোট্ট একটি টিনশেড ঘরে বসবাস করেন। নিঃসন্তান নাজমা বেগমের স্বামী দীর্ঘদিন পূর্বেই মারা গেছেন৷ নাজমা বেগম গৃহকর্মীর কাজ করেই নিজের সংসার চালায়। বার্ধ্যক্য জনিত কারণে এখন আর আগের মত কাজের ক্ষমতা নেই। অন্যের দেওয়া সামান্য সাহায্য সহযোগিতার চলে তার সংসার। ঈদের নতুন কোন শাড়ি কেনার সামর্থ্য নেই। সমাজে নাজমা আক্তারের মতই এমন কিছু বয়ষ্ক নারীপুরুষের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজশাহী মিরপুর১৪ নম্বর এলাকায় বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল ক্যাম্পাস১ প্রাঙ্গন ৫০টি অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদের নতুন জামা শাড়ি, পাঞ্জাবিলুঙ্গি বিতরণ করা হয়েছে। 

ঈদের নতুন শাড়ি পেয়ে নাজমা আক্তার জানায়, “অহন আর কামের শক্তি নাই, মাইনষের সাহায্য নিয়াই খাই। ঘরে দুইটাই কাপড় আছে তাও একটা ছেড়া। নতুন শাড়িডা দিয়া চিন্তা মুক্ত হইলাম অনেকদিন এই শাড়িডা পরতে পারমু।

আরেক বৃদ্ধ জানায়, “সংসারের অভাবের ল্যাইগা ঈদে কিছুই কেনা হয়না, তোমগো পাঞ্জাবিলুঙ্গি পরি ঈদের নামাজ পরমু। তোমগো ল্যাইগা দোয়া করি, তোমরা অনেক বড় হও।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রাফিউল আহমেদ চৌধুরী বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ বিন খালেদ, কাফরুল থানা শাখার উপদেষ্টা উম্মে হানি প্রাপ্তি, সদস্য ওয়ালী খান ইউসুফযাই, আব্দুল্লাহ আল রাজিন, আলিফ বিন জামান, আলিফ জাহেরি, সেজুতি আক্তার, অন্বেষা পাল পূজা, বিথি রয়, মাহাদী রশিদ, মাহবুবা মাহিমা, মোমতারিন জাহান, নাজমুল হাসান মারুফ, অর্পিতা চাকমা, নুসরাত জাহান শ্রাবনী, সাদিয়া আক্তার মিম, সাদমান তাহসিন, সাজ্জাদুর রহমান শেখ, তৌফিক আল সাদিফ, দিবা দেবনাথ, তাহসিন ইকবাল ত্রিশা ও সাদিয়া ইকবার তানিশা।

ঈদ উপহার বিতরণ শেষের বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি রাফিউল আহমেদ চৌধুরী জানায়, সমাজের অনেক অস্বচ্ছল অবহেলিত লোকজন আছে যারা অর্থের অভাবে ঈদের দিনটা অন্যদের মতো হাসিআনন্দে উদযাপন করতে পারে না।  সমাজের এমন কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে ৫০ জন নারীপুরুষের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণ করা হয়েছে।  বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে এ ধরণের শুভ কাজ সবসময়ই অব্যাহত থাকবে। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *