নতুন জামা পেয়ে চাঁদের হাসি ফুটে উঠেছে শিশুদের মুখে

 

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সেই খুশির বাতাস পৌঁছায় না সবার ঘরে, সবার মনে। অসহায় সুবিধাবঞ্চিত অনেক মানুষ এই ঈদ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পায় না। দেশীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী শিশুরা ঈদে নতুন জামা পড়বে, হাতে মেহেদি আঁকবে। এতেই যেন তাদের ঈদের খুশি, আনন্দের তৃপ্তি। সামিয়া, সুমাইয়া, ইকবাল এরা সবাই বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল মিরপুর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের পরিবারের সবাই দিনমজুর দিন আনে দিন খায়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে তাদের পরিবারের মানুষজন রমজান মাসে ঠিকমতো খেতে পারে না তারা ঈদের নতুন জামা তাদের কাছে চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্নের মত। এমন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল প্রাঙ্গনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে ঈদের নতুন জামা পাঞ্জাবি, কামিজ, থ্রিপিস বিতরণ করা হয়। নতুন জামা পেয়ে চাঁদের হাসি ফুটে উঠেছে শিশুদের মুখে। এই হাসিতে পৃথিবী হাসে।

শিশুদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী নাম জুবায়ের। বয়স ৯ বছর হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পরে। নতুন জামা হাতে পেয়ে জুবায়ের জানায়, ‘ আব্বা এখনো নতুন জামা কিনে দেয় নাই, এই জামাটা পরে ঈদে নামাজ পড়তে যাব।’ জুবায়েররের মতো অন্যদের মুখেও দেখা গেছে উচ্ছ্বাস। সুমাইয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ ‘ঈদের নতুন জামা পেয়ে আমার অনেক খুশি লাগছে। ঈদের দিন জামাটি পরে ঘুরতে যাব।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক ও কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি এস এম নাজমুস ছাকিব, সহ সভাপতি রাফিউল আহমেদ চৌধুরী বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ বিন খালেদ, কাফরুল থানা শাখার উপদেষ্টা শাহনাজ মহিমা, উম্মে হানি প্রাপ্তি, সদস্য ওয়ালী খান ইউসুফযাই, আব্দুল্লাহ আল রাজিন, আলিফ বিন জামান, আলিফ জাহেরি, সেজুতি আক্তার, অন্বেষা পাল পূজা, বিথি রয়, মাহাদী রশিদ, মাহবুবা মাহিমা, মোমতারিন জাহান, নাজমুল হাসান মারুফ, অর্পিতা চাকমা, নুসরাত জাহান শ্রাবনী, সাদিয়া আক্তার মিম, সাদমান তাহসিন, সাজ্জাদুর রহমান শেখ, তৌফিক আল সাদিফ, দিবা দেবনাথ, তাহসিন ইকবাল তৃষা, সাদিয়া ইকবার তানিশা।

আয়োজনে উপস্থিত হয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি এস এম নাজমুস ছাকিব বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ বর্তমানে যে কাজগুলো করছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। মিরপুরে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, যার পুরো কৃতিত্ব বসুন্ধরা শুভসংঘের। তাছাড়া বসুন্ধরা শুভসংঘ সারাদেশে যে জনকল্যানমূলক কাজগুলো করছে তার মাধ্যমে গ্রামীন নারীরা বেশ উপকৃত হচ্ছে। দেশব্যাপী নারী ও শিশুদের জন্য প্রশিক্ষন-শিক্ষা সহ সকল কার্যক্রম চালানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রæপে মানীনয় চেয়ারম্যান জনাব আহমেদ আকবর সোবহান মহোদয় এবং ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন মহোদয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *