চুনারুঘাটে চা বাগানের নারীদের স্বাবলম্ভি করতে বসুন্ধরা শুভ সংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন
চা বাগানের শ্রমিকদের যারা চাকুরীতে কর্মরত তার মৃত্যুর পর স্ত্রী অথবা একজন সন্তান সেই চাকুরীটা পেয়ে থাকে। আর স্বল্প বেতনের সেই শ্রমিকের আয়ে চলে পুরো সংসার। পরিবারের আয় বৃদ্ধির জন্য অন্য সদস্যদের তেমন কোন কাজের সুবিধা নেই বাগানে। ফলে যাদের স্থায়ী চাকুরী নেই তারা এখন ছুটে যায় বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতে। কিন্তু নারীদের বাহিরে গিয়ে তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। বাগানের আশে পাশে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কিছু কাজ করা ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই তাদের। সেই অবহেলিত চা জনগোষ্ঠীর দরিদ্র নারীদেরকে স্বাবলম্ভি করার উদ্যোগ নেয়েছে বসুন্ধরা শিল্পগোষ্ঠী।’শুভ কাজে সবার পাশে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপী নানা মানবিক ও সামাজিক কাজ করে যাওয়া দেশের বৃহৎ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শুভ সংঘ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লালচান চা বাগানে স্বাবলম্বী করার প্রত্যয়ে ২০ জন নারীকে নিয়ে শুরু হয়েছে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ।রবিবার (৭ জুলাই) লালচান চা বাগানের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক রনি গোয়ালার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জহিরুল হক শাকিল।বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যার খায়রুন আক্তার, দৈনিক কালের কণ্ঠের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষক ছাবিকুন্নাহার, শুভ সংঘের সদস্য সুবল মালাকার, জৌতিষ স¤্রাট ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্ধ।
প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন লালচান চা বাগানে বেড়ে ওঠা ২০ জন অস্বচ্ছল নারী। রয়েছেন কয়েকজন প্রতিবন্ধি নারী।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত না করলে সরকারের এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। চা শ্রমিকরা পরিশ্রমী। কিন্তু সবার কাজ থাকে না। বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করলে চা শ্রমিকরা ভাল কিছু করতে পারে তার অনেক উদাহরণ রয়েছে। চা শ্রমিকের সন্তানরা এখন অনেক ক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন। বসুন্ধরার এই অনন্য উদ্যোগের ফলে চা জনগোষ্ঠীর মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।