গোবিন্দগঞ্জে শুভসংঘের ইফতার বিতরণ
রমজানের দ্বিতীয় দিনে বুধবার বিকেলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের রিক্সাচালক ও মালামাল বহন করে জীবিকা নির্বাহ করা ৫০ জন মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন শুভ সংঘের বন্ধুরা । এ সব সামগ্রীর মধ্যে ছিল খেঁজুর, বুট, বুন্দিয়া, কলা, খিচুড়ি ও পানির বোতল।
এর আগে মহিমাগঞ্জ সড়কে দাঁড়িয়ে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলত এবং রমজানে করণীয়’ নিয়ে সমবেত মানুষ ও পথচারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব বাবু চৌধুরী, উপদেষ্টা পাপিয়া রায় পাখি মুনিয়া ,উপজেলা শুভ সংঘের সভাপতি তনু রায়, উপজেলা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক( ভারপ্রাপ্ত ) রাশিদ তাকী রাশু, হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লবসহ অন্যরা।
শুভসংঘের কর্মীরা এর পর পৌর এলাকার বাজার রোড, মায়ামণি চারমাথা, ঠাকুর বাড়ি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দুস্থ এবং পরিশ্রান্ত শ্রমজীবি মানুষদের হাতে ইফতারের প্যাকেট তুলে দেন। চারমাথা রোডের একটি ছাউনীর নিচে বসে থাকা কুলি শ্রমিক মোহাম্মদ আলী, তারা মিয়া, ইমরান শেখ ইফতারের প্যাকেট পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। মোহাম্মদ আলী বললেন, ‘সন্ধ্যার পরপরই মালামাল টান্যে ট্রাকে লোড দেওয়্ াল্যাগবি। তাই বাড়ি যাতে যাতে ম্যালা রাত হব্যি। এইখানে ব্যসে সকলে মিল্যে ৩০ টাকার মুড়ি বুট দ্যিয়ে ইফতার করব ঠিক করিচ্চিলাম। তোমরা ইফতারির বাক্স দিল্যা। আল্লাহ রহম করিচ্চেন। তাঁই তোমাদেক বাঁচ্যে রাখুক। দোয়া করি, সারা জীবন এইরকম গরীবগুল্যার পাশে থ্যাকে মা বাপের মুখ উজ্জল করো বাপও। বাঁচি থাকুক বসুন্ধরা শুভ সংঘ। ’
ঠাকুরবাড়ি রোডে রিক্সাচালক ’ সাহেব মিয়া যাত্রী নামিয়ে গামছা দিয়ে মুখ মুছছিলেন। বললেন, ‘এর আগে বসুন্ধরা গ্রুপ থ্যেকে চাল ডাল তেলসহ নানা জিনিস যানা পাছিল্যাম। একমাস পাড় করচি। আজ তোমাদ্যের ইফতার দিয়া রোজা ভাঙ্গব্যো। আল্লাহ শুভসংঘের সকল্যের হায়াত দারাজ করুক’।
ইফতার বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক রাশিদ ত্বাকী রাশু জানালেন, বসুন্ধরা শুভ সংঘের কেন্দ্রিয় কমিটির আয়োজনে এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় এই সব অসহায় শ্রমজীবি মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হলো। ইফতার হাতে পেয়ে সকলের এত খুশি দেখে আমাদের মন ভরে গেছে।
শুভ সংঘের এই কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয় করেন বেলাল আহমেদ সাগর, আজমাইন মাহতাব মিলন, জাহিদ খান, শিপন মিয়া এবং শ্রাবণ কুমার।
বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিতরণ কাজ চলে।