গাইবান্ধায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে দায়িত্বপালনকারীদের শুভ সংঘের ছাতা উপহার
গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া এবং পুলিশের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকারী বসুন্ধরা শুভ সংঘের কর্মীদের একটি করে ছাতা উপহার দেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা সিমেন্টের সৌজন্যে শুভ সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে ১০ জনের হাতে ছাতা তুলে দেন জেলা কমিটির তানহা তাসফিয়া পূর্ণতা, পৃথুলা পারমিতা বর্ণ ও মেঘলীনা দ্যুতি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টির মধ্যে তারা ঘুরে ঘুরে জেলা শহরের ব্যস্ততম ডিবি রোড, পার্ক রোড, গাইবান্ধা – সাঘাটা-ফুলছড়ি, গাইবান্ধা-সাদুল্যাপুর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় যানজট মুক্ত রাখার চেষ্টা করেন।
দুপুরে ডিবি রোডের পৌর পার্ক সংলগ্ন এলাকায় তারা যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে পথচারী পারাপারে সহায়তা করছিলেন। অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নন্দিতা রানী ( ৭০) কে হাত ধরে পথ পার হতে সাহায্য করার পর তিনি বললেন, ‘এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আচরণে তিনি মুগ্ধ। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর তারা যে ভাবে সামাজিক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে তা তুলনাহীন। এদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে এক নতুন বাংলাদেশ। আমি আশির্বাদ করছি’।
যারা রোদ বৃষ্টিতে কাজ করার জন্য শুভ সংঘের শুভেচ্ছা উপহার পেলেন তারা হলেন জেলা শুভ সংঘের কর্মকর্তা ও কর্মী জান্নাতুল মাহা মৗম, স্বজন খন্দকার , আহসানিয়া তাসনিম স্নিগ্ধা, আলাদিন আহাম্মেদ, আফতাবুররহমান অর্ক, আহসান আজিম প্রধান, তাসমিয়া আকতার তাসিম, লিজা আক্তার, রুবাইয়া খাতুন ও হৃদয় সরকার।
জেলা শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম শানু বলেন, ‘শুভ কাজে সবার পাশে’ থাকার প্রত্যয় নিয়ে শুভ সংঘের কর্মীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তারা এখন জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয়।